Header Ads

যৌন উত্তেজনা ব্যবহৃত ট্রাফিন ওষুধের কার্যকারিতা ও পার্শপ্রতিক্রিয়া দিক জেনে নিন

 



যৌন উত্তেজনা ব্যবহৃত ট্রাফিন ওষুধের কার্যকারিতা ও পার্শপ্রতিক্রিয়া দিক জেনে নিন

ব্যবহার সমূহ: লিঙ্গোত্থানজনিত অক্ষমতা চিকিৎসায় সেবন । ইরেকটাইল ডিসফাংশন বিনাইল হাইপারপ্লাসিয়া এবং বিনাইল পোস্টেটিক হাইপারপ্লাসিয়া সংশ্লিষ্ট ইরেকটাইল ডিসফাংশন  চিকিৎসা নির্দেশিত।

আমি কিভাবে এটা গ্রহণ করবো?: এ জাতীয় ওষুধ মুখে খেতে হয় ওষুধটি মুখে নিয়ে এক গ্লাস পানি দিয়ে গিলে ফেলুন ওষুধটি চুষে খাওয়া বা ভেঙ্গে বা গুড়া করে খাওয়া যাবেনা।

যেসব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না:  টাডালাফিল বা এর কোন এক্সিপিয়েন্টস এর প্রতি সংবেদনশীল কোন রোগীর টাডালাফিল ব্যবহার করা উচিত নয়। ক্লিনিক্যাল স্টাডিতে দেখা গেছে টাডালাফিল, নাইট্রেট এর হাইপোটেনসিভ প্রভাব আরো বাড়িয়ে দেয়। নাইট্রেট এবং টাডালাফিল এর নাইট্রিক অক্সাইড (সাইক্লিক গুয়ানোসিন মনোফসফেট ) পাথওয়েতে প্রভাবের কারণে এটা হয়ে থাকে। এজন্য যে সমস্ত রোগীরা অরগানিক নাইট্রেট যে কোন রূপে গ্রহন করছেন তাদের ক্ষেত্রে টাডালাফিল প্রতিনির্দেশিত।নিন্মক্ত হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হয়নি।তাই তাদের ক্ষেত্রে টাডালাফিল ব্যবহার করা যাবে না।

  • যে রোগীদের বিগত ৯০ দিনের মধ্যে মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কশন
  • হয়েছে।
  • যে রোগীদের যৌন মিলনের সময় এনজাইনা ও আনস্টেবল
  • এনজাইনা হয়ে থাকে।
  • যে রোগীদের অনিয়ন্ত্রিত উচ্চরক্তচাপ,এরাইথমিয়া এবং নিন্ম
  • রক্তচাপ রয়েছে।
  • যে রোগীদের বিগত ৬ মাসের মধ্যে স্ট্রোক হয়েছিল।


ডোজ:

প্রাথমিকভাবে বেশির ভাগ রোগীর ক্ষেত্রে ইনটিমেট ১০ মি.গ্ৰা. যৌন উত্তেজনা বৃদ্ধিতে নির্দেশিত হয়। প্রত্যেক রোগীর সহনশীলতা এবং কার্যক্ষমতা এর উপর নির্ভর করে মাত্রা ২০ মি.গ্রা. পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যেতে পারে অথবা ৫ মি.গ্রা এ কমিয়ে আনা যেতে পারে। বেশির ভাগ রোগীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাত্রা দিনে একবার। খাদ্যের সাথে ব্যবহার Tadalafil সেবনের উপর খাদ্য গ্রহণের তেমন প্রভাব নেই। বিভিন্ন কারনে ঔষধের মাত্রার তারতম্য হতে পারে। ডাক্তার যেভাবে পরামর্শ দিয়েছেন ঠিক সেভাবে ঔষধ গ্রহন করুন। আপনার প্রেসক্রিপশনের নির্দেশাবলী অনুসরণ করুন।যে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না 

পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া:সবচেয়ে বেশী প্রতিবেদিত পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে মাথাব্যথা, ঝিম ঝিম ভাব, ফ্লাশিং এবং বদহজম। ব্যাক পেইন, মায়ালজিয়া, চোখের পাতা ফুলে যাওয়া এগুলো বিরল পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। টাডালাফিলের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার সচরাচর ক্ষনস্থায়ী এবং সাধারনত সামান্য থেকে মাঝারী।সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে আছে (প্রতি ১০০ জনে ১-১০ জন)।মুখমন্ডল জ্বালাপোড়া করা, বদহজম, ঝাপসা দৃষ্টি, আলোক সংবেদনশীলতা, স্টাফিনোজ এবং মাথা ঘোরা খুব কম ঘটে এমন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার মধ্যে অছে বমি, ত্বকের ফুসকুড়ি, চোখের পিছনে রক্তক্ষরণ, রক্তলাল চোখ, চোখে ব্যথা, চোখে দুটো দেখা, চোখে অস্বাভাবিক অনুভূতি অসম অথবা দ্রুত হৃদস্পন্দন, মাংশপেশীতে ব্যথা, ঘুমঘুমভাব, স্পর্শানুভূতি কমে যাওয়া, মাথা ঘোরা, কানে শব্দ হওয়া, বমিবমি ভাব, মুখে শুষ্কানুভূতি,বুকে ব্যথা, ক্লান্তি অনুভূতি।

সতর্কতা ও সতর্কবাণী : যাদের ডায়াবেটিস, হাঁপানি, হৃদরোগ, হার্ট ফেইলোর, উচ্চ রক্তচাপ,পেপ্টিক আলসার, গ্লুকোমা, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, মাল্টিপল মায়েলোমা, লিউকেমিয়া, অতিরিক্ত ওজন, বৃক্ক, অথবা যকৃতের অক্ষমতা আছে, তাদের ক্ষেত্রে সতর্কতার সাথে ব্যবহার করতে হবে। যে সকল রোগীদের বংশগত ভাবে গ্যালাকটোজ অসহিঞ্চুতা রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে টাডালাফিল ব্যবহার করা যাবে না। টাডালাফিল এর সাথে সাথে অন্য কোন চিকিৎসা যা ইরেকটাইল ডিসফাংশন কে ভালো করবে,এ ধরনের যৌথ চিকিৎসায় নির্দেশিত নয়। যে সমস্ত রোগীদের পূর্বে হৃদরোগ রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে যৌনক্রিয়ার হৃদরোগের ঝুঁকি চিকিৎসকদেরকে বিবেচনা করতে হবে।

ওভারডোজ:

আপনি যদি মনে করেন যে আপনি এই ঔষুধ অত্যধিক পরিমানে ব্যবহার করে ফেলেছেন তবে জরুরি চিকিৎসকের পরামর্শ নিন অথবা হাসপাতালে যোগাযোগ করুন। অতিরিক্ত মাত্রার ক্ষেত্রে, রোগীর লক্ষণ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। কিছু ঔষুধের ক্ষেত্রে গ্যাস্ট্রিক ল্যাভেজের মাধ্যমে পেট খালি করা হয়। রোগীকে সাবধানে পর্যবেক্ষণ করা উচিত (ইসিজি পর্যবেক্ষণসহ) এবং লক্ষণমূলক এবং সহায়ক চিকিৎসা দেওয়া উচিত।

গর্ভাবস্থায় ও স্তন্যদান কালে ব্যবহার: টেডালাফিল মহিলাদের ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট নয় গর্ভবতী মহিলাদের ওপর এর কোন গবেষণা নেই।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.