Header Ads

লাউ এর উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক জানুন

 

লাউ এর উপকারিতা

লাউ পুষ্টিগুণ, স্বাস্থ্য উপকারিতা ও কেন আপনার ডায়েটে রাখা জরুরি

লাউ এর উপকারিতা

লাউ (বটল গার্ড বা বৃত্তাকার সাকুরা) পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। এতে প্রচুর পানি (৯২%), ফাইবার, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, এবং লৌহ রয়েছে। লাউ খাওয়ার উপকারিতা অনেক:

1. হজমশক্তি বৃদ্ধি: লাউয়ে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা হজমশক্তি বাড়ায় এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমায়।
2. ওজন নিয়ন্ত্রণ: লাউতে ক্যালরি কম থাকে এবং পানি বেশি থাকে, তাই এটি ওজন কমানোর জন্য উপযোগী।
3. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: লাউয়ে পটাশিয়াম থাকায় এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
4. ত্বকের যত্ন: ভিটামিন সি ত্বককে সজীব রাখে এবং বার্ধক্যের লক্ষণ কমায়।
5. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ: লাউয়ের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম, যা রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল রাখতে সাহায্য করে।
6. শরীর ঠান্ডা রাখা: লাউ গরমের সময় শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং পানিশূন্যতা দূর করে।

ক্ষতিকর দিক

যদিও লাউ স্বাস্থ্যের জন্য ভালো, তবুও কিছু ক্ষেত্রে ক্ষতিকর দিক থাকতে পারে:

1. বিষাক্ত লাউ: কোনো কোনো লাউ তিক্ত হতে পারে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তিক্ত লাউয়ে বিষাক্ত পদার্থ থাকে যা পেটে ব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া ঘটাতে পারে।
2. অতিরিক্ত গ্রহণে সমস্যা: অতিরিক্ত লাউ খেলে পেট ফাঁপা বা গ্যাস হতে পারে।

চাষ পদ্ধতি

লাউয়ের চাষ বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে জনপ্রিয়। সঠিক পদ্ধতিতে চাষ করলে ভালো ফলন পাওয়া যায়। চাষ পদ্ধতি:
1. মাটি ও জলবায়ু: লাউয়ের জন্য দো-আঁশ মাটি উপযুক্ত। উষ্ণ এবং আর্দ্র জলবায়ু লাউ চাষের জন্য সবচেয়ে ভালো।
2. বীজ বপন: লাউয়ের বীজ মাটির ২-৩ ইঞ্চি গভীরে বসাতে হয়। ৪-৫ দিন পর বীজ থেকে চারা গজায়।
3. সার ও পানি: প্রতি ৭-১০ দিন পরপর জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করা উচিত। মাটি যেন সবসময় আর্দ্র থাকে তা নিশ্চিত করা দরকার।
4. পরিচর্যা: গাছের চারদিকে আগাছা পরিষ্কার রাখতে হবে এবং গাছকে মাচায় উঠাতে হবে।
5. ফল সংগ্রহ: চারা রোপণের ২-৩ মাসের মধ্যে ফল সংগ্রহ করা যায়।

কোথায় পাওয়া যায়

লাউ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, নেপালসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশে পাওয়া যায়। তাছাড়া এটি আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকার কিছু অংশেও জন্মায়। বাংলাদেশে সবজির বাজারে এবং গ্রাম অঞ্চলের ঘরে ঘরে লাউয়ের চাষ করা হয়।

ভালো জাত

লাউয়ের বেশ কয়েকটি ভালো জাত রয়েছে, যার মধ্যে:
1. সবুজ লাউ: বাংলাদেশে বেশ জনপ্রিয় এবং অধিক ফলনশীল।
2. হাইব্রিড লাউ: উন্নত জাতের হাইব্রিড লাউ বেশি ফলন দেয়।
3. গ্রীষ্মকালীন লাউ: গরমে ভালো হয় এবং তাড়াতাড়ি ফলন দেয়।
4. শীতকালীন লাউ: শীতকালে চাষযোগ্য জাত।
 
লাউ একটি পুষ্টিকর ও বহুবিধ উপকারী সবজি যা সঠিক চাষ পদ্ধতিতে ভালো ফলন দিতে পারে এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

আরো দেখুন..

ধনেপাতার উপকারিতা ও ক্ষতিকর দিক জানুন

বরবটির উপকারিতা, ক্ষতিকর দিক, চাষ পদ্ধতি, ভালো জাত এবং মৌসুম সম্পর্কে বিশদ আলোচনা

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.